নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁ উপজেলা পিরোজপুর ইউনিয়নের পাচানি গ্রামে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রুপের লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ও একটি আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, পিরোজপুর ইউনিয়নের খাসেরগাঁও এলাকার হযরত আলীর ছেলে আওয়ামীগ নেতা জলিল ও মাসুদের সাথে পাশ্ববর্তী এলাকার কুদ্দুস মিয়ার সাথে তুুুুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তর্ক হয়। এর জের ধরে জলিলের লোকজন কুদ্দুসকে তাকে মারধর করে। এ ঘটনার পর আহত কুদ্দুস মিয়া লোকজন স্থানীয় মেম্বার জাহাঙ্গীর ও মনির মেম্বারের লোকজন মাসুদ রানা এবং জলিলকে মারধর করে তার অফিস ভাংচুর করে। খবর পেয়ে জলিলের লোকজন মনির মেম্বার ও জাহাঙ্গীর মেম্বারের লোকজনের সাথে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। সংর্ঘষে আওয়ামীলীগের অফিসসহ কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। এতে জলিল, মনির মেম্বার, মাসুদ, কুুুুুুদ্দুস ও জলিলসহ ৫ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আহত জাতীয় পার্টির নেতা মনির মেম্বার ও জাহাঙ্গীর মেম্বার বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে এর আগেও মাসুদ রানা মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করতেছে। একজন অসহায় মানুষকে কেনো মারধর করলো এটা জিজ্ঞেস করাতে আজ তারা আমাদের উপরে হামলা চালিয়ে উল্টো আমাদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসাতে পায়তারা করছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জলিল তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন মনির ও জাহাঙ্গীর মেম্বার আমার অফিস ও বাড়িঘর ভাংচৃর করেছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, উপজেলার পাচানী এলাকায় মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।